দুর্ভিক্ষ মঙ্গা জাদুঘরে ॥ খাদ্যে স্বয়ম্ভর বাংলাদেশের এফএও পুরস্কার লাভ
০ মহাজোট সরকারের এ সাফল্যকে আন্তর্জাতিক মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে
০ সোয়া কোটি হতদরিদ্র মানুষ কমেছে
০ এমডিজির তিন বছর আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
০ সংবাদ সম্মেলনে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী
০ সোয়া কোটি হতদরিদ্র মানুষ কমেছে
০ এমডিজির তিন বছর আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
০ সংবাদ সম্মেলনে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা দূর করে বর্তমান সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। মহাজোট সরকারের এই সাফল্যে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করায় এফএও বাংলাদেশকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এ কথা বলেন। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক জরিপ মোতাবেক বাংলাদেশে চরম দরিদ্র জনসংখ্যা ১৯৯০-১৯৯২ সালের ৩৭ দশমিক ছয় ভাগ থেকে ২০১২ সালে ১৬ দশমিক আট ভাগে কমে এসেছে। সংখ্যার দিক থেকে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা তিন কোটি ৭২ লাখ থেকে দুই কোটি ৫৩ লাখে নেমে এসেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার কথা ছিল। কিন্তু তিন বছর আগেই বাংলাদেশ তা অর্জন করেছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য এ অগ্রগতি অর্জন করায় এফএও বাংলাদেশকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করে। এফএও সদর দফতর রোমে ১৬ জুন সংস্থাটির ৩৮তম কনফারেন্সে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক রোমে এফএও মহাপরিচালক হোসে গ্রাজিয়ানো ডি সিলভার কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার অঙ্গীকার করেছিল। সে অঙ্গীকার পূরণে বিগত সাড়ে চার বছর চালের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ সালে এক জন দিনমজুর দিনের আয় দিয়ে সাড়ে চার কেজি চাল কিনতে পারত। এখন এক জন দিনমজুর দিনের আয় দিয়ে প্রায় সাড়ে আট কেজি চাল কিনতে পারে। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খোলা বাজারে চাল বিক্রিসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী জোরদার করে। ফলে বাজারে চালের সরবরাহ যেমন নিশ্চিত হয়, তেমনি দামও জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা গেছে। বাংলাদেশের সামনে সকল নাগরিকের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ২০০৭-২০০৮ সালের বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দেয়। সারসহ কৃষি উপকরণের দাম কমিয়ে আনা এবং উৎপাদন সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলায় গত কয়েক বছর দেশে খাদ্য উৎপাদনও বেড়েছে। গত বছর কৃষি উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় সাড়ে চার ভাগ। এ বছরে তা পাঁচ ভাগে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট পত্রিকাটি বরাবরই মহাজোট সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা করে আসছে। কিন্তু বিগত ফেব্রুয়ারিতে তারাও বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ মডেল হতে পারে। আগের সরকারের আমলে যেখানে দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা ছিল মানুষের নিত্যসঙ্গী। অথচ বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও জনবহুল এই দেশে এত অল্পদিনেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশকে মডেল হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে আশ্বিন-কার্তিকে দেশের কিছু এলাকায় মঙ্গা-দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। সে সময় ওই এলাকার মানুষের কোন কাজ থাকত না। এমনকি বাজারে চাল থাকতেও তাদের কেনার সামর্থ্য থাকত না। কিন্তু মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই এলাকায় ভিজিএফ, ওএমএস, টিআর, কাবিখা ইত্যাদি চালু করা হয়। এমনকি ওই এলাকার মানুষের কর্মসৃজনও করা হয়। এতে মানুষের হাতে যেমন টাকা আসে, তেমনি স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি করা হয়। এ ছাড়াও মঙ্গা চিরতরে দূর করতে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এখন বাংলাদেশের কোথাও আর দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গা দেখা যায় না।
এক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পুনরায় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব পাবে। সরকার পরিবর্তন হলেও এ দিকে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি আজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচনেও বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতিবছর এক দশমিক সাত ভাগ হারে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমছে।
তিনি আরও বলেন, অন্য কোন সরকার এলেও দেশের স্বার্থে এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখা উচিত। তিনি বলেন, তবে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে সে ক্ষেত্রে তারা কি করবে তা জানি না। কারণ চারদলীয় জোটের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ বিএনপির কোন কোন নেতা বলতেন, দেশে দুর্ভিক্ষ থাকা ভাল। দুর্ভিক্ষ থাকলে বিদেশী সাহায্য পাওয়া যায়। সে কারণে তারা যদি ক্ষমতায় আসে তা হলে কি হবে তা আমি বলতে পারছি না।
এ সময় খাদ্য সচিব মুশফেকা ইকফাৎ, প্রধান তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার অঙ্গীকার করেছিল। সে অঙ্গীকার পূরণে বিগত সাড়ে চার বছর চালের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ সালে এক জন দিনমজুর দিনের আয় দিয়ে সাড়ে চার কেজি চাল কিনতে পারত। এখন এক জন দিনমজুর দিনের আয় দিয়ে প্রায় সাড়ে আট কেজি চাল কিনতে পারে। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খোলা বাজারে চাল বিক্রিসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী জোরদার করে। ফলে বাজারে চালের সরবরাহ যেমন নিশ্চিত হয়, তেমনি দামও জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা গেছে। বাংলাদেশের সামনে সকল নাগরিকের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ২০০৭-২০০৮ সালের বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দেয়। সারসহ কৃষি উপকরণের দাম কমিয়ে আনা এবং উৎপাদন সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলায় গত কয়েক বছর দেশে খাদ্য উৎপাদনও বেড়েছে। গত বছর কৃষি উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় সাড়ে চার ভাগ। এ বছরে তা পাঁচ ভাগে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট পত্রিকাটি বরাবরই মহাজোট সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা করে আসছে। কিন্তু বিগত ফেব্রুয়ারিতে তারাও বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ মডেল হতে পারে। আগের সরকারের আমলে যেখানে দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা ছিল মানুষের নিত্যসঙ্গী। অথচ বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও জনবহুল এই দেশে এত অল্পদিনেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশকে মডেল হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে আশ্বিন-কার্তিকে দেশের কিছু এলাকায় মঙ্গা-দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। সে সময় ওই এলাকার মানুষের কোন কাজ থাকত না। এমনকি বাজারে চাল থাকতেও তাদের কেনার সামর্থ্য থাকত না। কিন্তু মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই এলাকায় ভিজিএফ, ওএমএস, টিআর, কাবিখা ইত্যাদি চালু করা হয়। এমনকি ওই এলাকার মানুষের কর্মসৃজনও করা হয়। এতে মানুষের হাতে যেমন টাকা আসে, তেমনি স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি করা হয়। এ ছাড়াও মঙ্গা চিরতরে দূর করতে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এখন বাংলাদেশের কোথাও আর দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গা দেখা যায় না।
এক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পুনরায় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব পাবে। সরকার পরিবর্তন হলেও এ দিকে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি আজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচনেও বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতিবছর এক দশমিক সাত ভাগ হারে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমছে।
তিনি আরও বলেন, অন্য কোন সরকার এলেও দেশের স্বার্থে এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখা উচিত। তিনি বলেন, তবে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে সে ক্ষেত্রে তারা কি করবে তা জানি না। কারণ চারদলীয় জোটের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ বিএনপির কোন কোন নেতা বলতেন, দেশে দুর্ভিক্ষ থাকা ভাল। দুর্ভিক্ষ থাকলে বিদেশী সাহায্য পাওয়া যায়। সে কারণে তারা যদি ক্ষমতায় আসে তা হলে কি হবে তা আমি বলতে পারছি না।
এ সময় খাদ্য সচিব মুশফেকা ইকফাৎ, প্রধান তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৩, ৭ আষাঢ় ১৪২০