বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের বিকল্প নেই। এজন্য তাঁর সরকার টেলিযোগাযোগ ও আইসিটির উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম উপকরণে পরিণত হয়েছে। এজন্য জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ লাভ করে। তিনি ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের এক সুদূরপ্রসারী ভিত্তি স্থাপন করেন। বর্তমান সরকার এখন মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই স্যটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। খবর বাসসর।
তিনি শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৩’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘আইসিটি’স এ্যান্ড ইমপ্রুভিং রোড সেফটি’। এই প্রতিপাদ্যের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি পদ্ধতি প্রয়োগ করে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যাত্রী, পথচারী ও গাড়িচালকের সচেতনতা বাড়াতে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাগুলো কাজে লাগানো। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, এ ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচী বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে অবদান রাখবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় আয়োজিত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুস সাত্তার। এতে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস ও আয়োজক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার দাস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য হ্রাস, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, সম্পদের সুষম বণ্টন এবং রাষ্ট্রীয় মৌলিক সেবাসমূহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর দলের নির্বাচনী অঙ্গীকার ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তিকে থ্রাস্ট খাত হিসেবে ঘোষণা করে আইসিটি আইন ও আইসিটি নীতিমালা-২০০৯ প্রণয়ন করেছে। ইতোমধ্যে এ খাতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টের পাশাপাশি ইন্টারনেট ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সেবা গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর আলোকে ইউনিয়ন, তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। গ্রামের জনগোষ্ঠী এখন এসব সেবা কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সরকারী ফর্ম, নোটিস, পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, চাকরির খবর, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, বিদেশে চাকরির জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ ২২০টি সেবা পাচ্ছেন। এ সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং, কৃষিজমির মাটি পরীক্ষা ও সারের সুপারিশ, বিদ্যুত ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ট্রেনের টিকেট, জমির পর্চা ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে। এতে অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও ধাপে ধাপে ৭শ’ ধরনের ই-সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর পূর্ববর্তী সরকারের আমলে মোবাইল ফোন ব্যবসায় মনোপলি ভেঙ্গে দিয়ে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা হয় এবং বর্তমান সরকারের আমলে এই সুবিধা গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় এখন দেশে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যান্ডউইথ চার্জ কমানোর ফলে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখে পৌঁছেছে। আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের সব উপজেলায় কমিউনিটি ই-সেন্টার চালু এবং অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের চার বছরে টেলিডেনসিটি দ্বিগুণ বেড়ে ৬৭ শতাংশ হয়েছে। ইন্টারনেট ডেনসিটিও প্রায় ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ৮ হাজার গ্রামীণ ডাকঘর ও ৫শ’ উপজেলা ডাকঘরকে ই-সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে থ্রিজি প্রযুক্তি চালুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে গ্রাহকরা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা, ভিডিও কল, টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে।
প্রযুক্তি বিভেদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথপরিক্রমায় চার বছরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমি নিশ্চিত ২০২১ সালের অনেক আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে পারব।
শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকে কম্পিউটার শিক্ষা চালু, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত ৩শ’ ২৫টি পাঠ্যপুস্তক ই-বুকে রূপান্তর এবং মেধাবিকাশে আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন প্রজন্মের নতুন নতুন এ্যাপলিকেশনসের উদ্ভাবন ও প্রয়োগে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও হ্রাস পাবে।
তাঁর সরকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা, সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণে স্থায়ী মনিটরিং টিম গঠন এবং ন্যাশনাল সেফটি স্ট্র্যাটেজিক এ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন, মোটরযানের রেট্রো-রিফ্লেকটিভ নম্বরপ্লেট, রেডিও ফ্রিকোয়েনসি আইডেনটিফিকেশন ট্যাগ ও ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট চালু, জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স বন্ধে ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রবর্তন এবং মোটরযান ও নৌযানে ফিটনেট প্রদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সার্বিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা হ্রাসে সরকার ও বেসরকারী খাত, চালক, যাত্রী ও পথচারী সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদপত্র দেন।
তিনি শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৩’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘আইসিটি’স এ্যান্ড ইমপ্রুভিং রোড সেফটি’। এই প্রতিপাদ্যের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি পদ্ধতি প্রয়োগ করে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যাত্রী, পথচারী ও গাড়িচালকের সচেতনতা বাড়াতে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাগুলো কাজে লাগানো। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, এ ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচী বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে অবদান রাখবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় আয়োজিত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুস সাত্তার। এতে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস ও আয়োজক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার দাস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য হ্রাস, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, সম্পদের সুষম বণ্টন এবং রাষ্ট্রীয় মৌলিক সেবাসমূহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর দলের নির্বাচনী অঙ্গীকার ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তিকে থ্রাস্ট খাত হিসেবে ঘোষণা করে আইসিটি আইন ও আইসিটি নীতিমালা-২০০৯ প্রণয়ন করেছে। ইতোমধ্যে এ খাতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টের পাশাপাশি ইন্টারনেট ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সেবা গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর আলোকে ইউনিয়ন, তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। গ্রামের জনগোষ্ঠী এখন এসব সেবা কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সরকারী ফর্ম, নোটিস, পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, চাকরির খবর, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, বিদেশে চাকরির জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ ২২০টি সেবা পাচ্ছেন। এ সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং, কৃষিজমির মাটি পরীক্ষা ও সারের সুপারিশ, বিদ্যুত ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ট্রেনের টিকেট, জমির পর্চা ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে। এতে অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও ধাপে ধাপে ৭শ’ ধরনের ই-সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর পূর্ববর্তী সরকারের আমলে মোবাইল ফোন ব্যবসায় মনোপলি ভেঙ্গে দিয়ে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা হয় এবং বর্তমান সরকারের আমলে এই সুবিধা গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় এখন দেশে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যান্ডউইথ চার্জ কমানোর ফলে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখে পৌঁছেছে। আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের সব উপজেলায় কমিউনিটি ই-সেন্টার চালু এবং অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের চার বছরে টেলিডেনসিটি দ্বিগুণ বেড়ে ৬৭ শতাংশ হয়েছে। ইন্টারনেট ডেনসিটিও প্রায় ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ৮ হাজার গ্রামীণ ডাকঘর ও ৫শ’ উপজেলা ডাকঘরকে ই-সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে থ্রিজি প্রযুক্তি চালুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে গ্রাহকরা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা, ভিডিও কল, টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে।
প্রযুক্তি বিভেদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথপরিক্রমায় চার বছরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমি নিশ্চিত ২০২১ সালের অনেক আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে পারব।
শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকে কম্পিউটার শিক্ষা চালু, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত ৩শ’ ২৫টি পাঠ্যপুস্তক ই-বুকে রূপান্তর এবং মেধাবিকাশে আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন প্রজন্মের নতুন নতুন এ্যাপলিকেশনসের উদ্ভাবন ও প্রয়োগে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও হ্রাস পাবে।
তাঁর সরকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা, সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণে স্থায়ী মনিটরিং টিম গঠন এবং ন্যাশনাল সেফটি স্ট্র্যাটেজিক এ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন, মোটরযানের রেট্রো-রিফ্লেকটিভ নম্বরপ্লেট, রেডিও ফ্রিকোয়েনসি আইডেনটিফিকেশন ট্যাগ ও ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট চালু, জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স বন্ধে ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রবর্তন এবং মোটরযান ও নৌযানে ফিটনেট প্রদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সার্বিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা হ্রাসে সরকার ও বেসরকারী খাত, চালক, যাত্রী ও পথচারী সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদপত্র দেন।