অভিমানের পড়া, ৭২-এ দাখিল পাস
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | তারিখ: ১৫-০৫-২০১৩
বিদেশ থেকে ছেলের পাঠানো চিঠি পড়ে শোনাননি ছেলের বউ রিনা বেগম। এতে ভীষণ অভিমান হয় তাঁর। ৬৫ বছর বয়সে শুরু করেন লেখাপড়া। সেই অভিমানের পড়া থেকেই এবার তিনি দাখিল পরীক্ষায় বি-গ্রেডে পাস করেছেন। আশা কামিল পর্যন্ত পড়ালেখার। ৭২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের নাম আবদুল গফুর। বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রতনহাট গ্রামে।
খুব ছোট বয়সে মা-বাবা মারা যান। তাই ছোটবেলা থেকেই স্কুলে না গিয়ে কৃষিকাজ করতে হয়েছে। ১৯৭২ সালে পাশের জয়ারামপুর গ্রামের আকাল উদ্দিনের মেয়ে নুর ভানুকে বিয়ে করেন। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শামছুল আলম কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। মেজো ছেলে রুহুল আমিন নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করে বিদেশে যান কাজের সন্ধানে। ছোট ছেলে আশরাফুলের লেখাপড়া উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত।
আবদুল গফুর জানান, ১০-১১ বছর আগে ছেলে রুহুল আমিন বিদেশ থেকে একটি চিঠি পাঠান। ছেলের বউ রিনা বেগমের কাছে গেলে কাজের কথা বলে তিনি তা পড়ে শোনাননি। ওই ঘটনায় মনে কষ্ট পেয়ে পড়ালেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৭ সালে ঝিনাইদহের লাউদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন তিনি। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বি-গ্রেডে পাস করেন।
লাউদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সুপার ইয়াসিন আলী জানান, এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সবাই আবদুল গফুরকে উৎসাহ দিয়েছেন।
খুব ছোট বয়সে মা-বাবা মারা যান। তাই ছোটবেলা থেকেই স্কুলে না গিয়ে কৃষিকাজ করতে হয়েছে। ১৯৭২ সালে পাশের জয়ারামপুর গ্রামের আকাল উদ্দিনের মেয়ে নুর ভানুকে বিয়ে করেন। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শামছুল আলম কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। মেজো ছেলে রুহুল আমিন নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করে বিদেশে যান কাজের সন্ধানে। ছোট ছেলে আশরাফুলের লেখাপড়া উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত।
আবদুল গফুর জানান, ১০-১১ বছর আগে ছেলে রুহুল আমিন বিদেশ থেকে একটি চিঠি পাঠান। ছেলের বউ রিনা বেগমের কাছে গেলে কাজের কথা বলে তিনি তা পড়ে শোনাননি। ওই ঘটনায় মনে কষ্ট পেয়ে পড়ালেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৭ সালে ঝিনাইদহের লাউদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন তিনি। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বি-গ্রেডে পাস করেন।
লাউদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সুপার ইয়াসিন আলী জানান, এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সবাই আবদুল গফুরকে উৎসাহ দিয়েছেন।