রিজার্ভ আবারও ১৪ বিলিয়ন ডলার

সমকাল প্রতিবেদক
বিশ দিনের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ১৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রিজার্ভ এ মাইলফলক স্পর্শ করল।
 
গত রোববার দিন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মজুদের পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায় বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। তারা বলেন, এ রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
দেশে সা¤ক্স্রতিক সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার পরও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েছে। এ কারণেই মূলত রিজার্ভের পরিমাণ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এর আগে গত ৫ মার্চ প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৪ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড স্পর্শ করে।
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নতুন রেকর্ডের পর সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর তা সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। তবে গত কয়েক দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি আবারও ১৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
 
কর্মকর্তারা বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের ওপর ভিত্তি করে মূলত রিজার্ভ বেড়েছে। পাশাপাশি রফতানি আয় বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় কমে আসাও এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
 
ডলারের বিপরীতে টাকার দর কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে ডলার কেনা অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত বাজার থেকে ৩৫০ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দর ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এর আগে কখনোই এত বেশি ডলার কিনতে হয়নি। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে টাকার দর কমছে। গতকাল আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দর ছিল ৭৮ টাকা ৩০ পয়সা।
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলার। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেও। আর চলতি মার্চ মাসের ২২ দিনে এসেছে ৮৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।