সমকাল ডেস্ক
স্বল্প খরচে দ্রুত ডায়রিয়ার কারণ নির্ণয় পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটিয়েছেন বাংলাদেশ ও জাপানের বিজ্ঞানীরা। এ পদ্ধতিতে আগের চেয়ে অর্ধেকেরও কম খরচ এবং ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ডায়রিয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিত করা যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের হিরোসাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ পদ্ধতির উন্নয়ন
ঘটিয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা এর আগে ডায়রিয়ার জন্য দায়ী এশেরেশিয়া কোলাই বা ই. কোলাইয়ের ৫টি প্রজাতির ১০টি জিনকে নিশ্চিত করেছিলেন। এতে প্রতিটি জিন চিহ্নিত করতে বিপুল খরচ এবং ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগত। বাংলাদেশ ও জাপানের গবেষকরা যে পদ্ধতি উন্নয়ন করেছেন তাতে একটিমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে সব জিন চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে দ্রুততম সময়ে ও কম খরচে ডায়রিয়ার জন্য দায়ী ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিত করা যাবে। গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্নাল অব মাইক্রোবায়োলজি মেথডে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চৌধুরী রফিকুল আহসান বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে কম সময়ে চিকিৎসকরা দ্রুত ডায়রিয়ার চিকিৎসা দিতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে_ নতুন এ পদ্ধতিতে ৩-৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ডায়রিয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিত করা যাবে। যেখানে প্রচলিত নিয়মে এ পরীক্ষা করতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়া এতে ব্যয়ও অনেক কম। বর্তমানে প্রচলিত নিয়মে ঢাকায় পরীক্ষাটি করতে ২৩ থেকে ৭১ ডলার পর্যন্ত খরচ হয়। নতুন এ পদ্ধতিতে মাত্র ৭ ডলার খরচ হবে। এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্চ বাংলাদেশের প্রধান আজহারুল ইসলাম খান বলেন, গত বছর বাংলাদেশে যেসব লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের ১২ শতাংশের ডায়রিয়া হওয়ার কারণ ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া। তাই জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন এ পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যসূত্র : সায়েন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক।
ডায়রিয়ার ব্যাকটেরিয়া শনাক্তের দিশা বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর
ডায়রিয়ার ব্যাকটেরিয়া শনাক্তের দিশা বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর
চৌধুরী রফিকুল আহসান