গত অর্থবছরে (২০১১-১২) ৬ হাজার ১৭৩ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করে ২৯৪ কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ। ওই অর্থবছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন হয় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। ৪০০ টাকা কেজি দরে এর বাজার মূল্য ১৩ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ‘মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম মূল্যায়ন ও জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে মৎস্য অধিদফতর। বিডিনিউজ।
অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ বি এম জাহিদ হাবিব এ তথ্য তুলে ধরেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সরকারের ইলিশরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ওই অর্থবছরে দেশের ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৬৪ পরিবারকে পরিবারপ্রতি মাসিক ৩০ কেজি হারে মোট ২২ হাজার ৩৫১ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়। এতে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। এর আগের কয়েক বছরেও একই সংখ্যক পরিবারকে এ ধরনের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। এতে গত অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৩৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। গত বছর ইলিশ উৎপাদন হয় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। আগের বছর যা ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন। এ কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে এবং ইলিশ ধরা বন্ধ কার্যক্রম সফল করতে চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩০ পরিবারকে পরিবারপ্রতি ৫০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এজন্য ইতিমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত বলেন, এ কার্যক্রমের পাশাপাশি জেলে ও মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং পশু-পাখি পালনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকার প্রায় ১৪ কোটি টাকার পশু-পাখিসহ কৃষি উপকরণ সরবরাহ করেছে ১৯ হাজার ৪২ পরিবারকে।