প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থের ওপর ভর করে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১২শ’ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘রফতানি আয় বিশেষ করে প্রবাস আয় বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভ এত শক্তিশালী অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এটি বৈধ চ্যানেলে প্রবাস আয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া নানা পদক্ষেপের সুফল।’
গভর্নর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার শক্তিশালী এই রিজার্ভকে অর্থনীতির ইতিহাসে ‘মাইলফলক’ বলে অভিহিত করেন। রিজার্ভের এই ঐতিহাসিক উর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার দিন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার দুইশ’ দুই কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেঙ রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মনোজ কুমার বিশ্বাস বলেন, উচ্চ রেমিটেন্স প্রবাহ ও শান্তি মিশনে কর্মরত বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশী দু’টি ফোন কোম্পানী এয়ারটেল ও রবির ১০ কোটি ডলারের তহবিল দেশে আনার কারণে রিজার্ভে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানীকে সামনে রেখে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি হারে টাকা পাঠাচ্ছেন। এ কারণে প্রবাস আয়ও বেড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে প্রেরিত রেমিটেন্স আয়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ৬ থেকে ১২ অক্টোবর এই সপ্তাহে রেকর্ড পরিমাণ ৩৯০ মিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনেই ৫৯৩ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীর। ১২ দিনে এ পরিমাণ রেমিটেন্স এর আগে কখনো আসেনি।