অবাক বাংলাদেশ! যে খবর নাড়া দেয়

নিচে টলমলে স্বচ্ছ জল। জলে ছায়া ফেলেছে সবুজ গাছগাছালি। তার ফাঁকে চলছে নৌকা—এমন দৃশ্যের কথা ভাবলে হয়তো সুন্দরবনের কথাই আগে মাথায় আসে। কিন্তু জায়গাটা সুন্দরবন নয়, সিলেট। সিলেটের চা-বাগান, ঝরনা আর পাহাড় দেখেছি। কিন্তু এমন বিচিত্র সুন্দর জায়গাও সিলেটে আছে! বিস্মিত হওয়ার মতোই ব্যাপার।
প্রথম পৃষ্ঠার এই ছবিটা ভ্রমণপিয়াসীদের হাতছানি দিয়ে ডাকবে নিশ্চিত। রাতারগুল বনে একবার নৌকা নিয়ে ঘুরে আসার জন্য ব্যাকুল হবেন অনেকেই। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছিলেন, বাংলাদেশের রাঙামাটি-বান্দরবানের সৌন্দর্য সুইজারল্যান্ডের চেয়ে মোটেও কম নয়। অথচ পর্যটক আকর্ষণের দিক থেকে কোথায় সুইজারল্যান্ড, আর কোথায় বাংলাদেশ।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে প্রথম পাতায় প্রকাশিত এই ছবিটি মন কেড়ে নেয়। এই ছবি মনে করিয়ে দেয়, আমাদের বাংলাদেশ আসলে সত্যিই প্রকৃতির নিজের হাতে গড়া। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো ঐশ্বর্যের অভাব নেই এ দেশে। অভাব আমাদের দেশের প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যগুলোকে ইতিবাচকভাবে বাইরের দুনিয়ার সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগের। রাতারগুল বনের মতো স্বল্প পরিচিত জায়গার নয়নাভিরাম দৃশ্য আমাদের মুগ্ধ করে। পাশাপাশি পর্যটন সক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশের দুর্বল অবস্থান (১৪৪টি দেশের মধ্যে ১১৮তম) আমাদের মনও খারাপ করিয়ে দেয়। 
পর্যটন খাত বিকাশের কার্যক্রম শুধু কাগজে-কলমে না থেকে সত্যিকারভাবে কার্যকর হবে, এই আশা করি। ভিনদেশি পর্যটক দল আমাদের বাংলাদেশ দেখতে বেরিয়েছেন। চোখে অপার বিস্ময় নিয়ে তাঁরা দেখছেন অপরূপা বাংলাদেশ। এর চেয়ে গর্বের ব্যাপার আমাদের জন্য আর কী হতে পারে? 
—ইকবাল হোসাইন চৌধুরী