অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স নবায়নের এই দিনের মাধ্যমে বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন সৃষ্টি হলো। ভবিষ্যতে অপারেটর ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
টেলিকম খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন উদ্যোগ নেয়ার জন্য বিটিআরসির প্রতি আহ্বান জানান রাজু। আগামীতে থ্রি-জি আসছে এবং সব অপারেটর যেন এ সার্ভিস পায়, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে, বলেন তিনি।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইনু বলেন, ‘টু-জি লাইসেন্স নবায়নের মাধ্যমে প্রমাণ হলো, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত জায়গা। এ সেক্টরে যেন আরও বিদেশি বিনিয়োগ হয়, সে উদ্যোগ নিতে হবে।’
টু-জি লাইসেন্স নবায়ন এবং দেনা-পাওনা পরিশোধের বিষয়ে অপারেটরদের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো দ্রুত মিটিয়ে ফেলে ৭ দিনের মধ্যে তাদের লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য গত বুধবার বিটিআরসিকে চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। পরদিন চার অপারেটরকে চিঠি দিয়ে লাইসেন্স নবায়নের বিষয়টি জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
গ্রামীণফোনের সিইও টোরে জনসেন বলেন, ‘আমরা পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসা নিশ্চিত করেছি। ফলে আমাদের ওপর শেয়ারহোল্ডার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।’
লাইসেন্স পাওয়ার পর সিটিসেল সিইও মেহবুব চৌধুরী বলেন, ‘লাইসেন্স নবায়নের পর যে নতুন যাত্রা শুরু হলো, তা যেন অব্যাহত রাখতে পারি। আর এ যাত্রা যেন দেশের বৃহত্ স্বার্থে কাজে লাগাতে পারি। বিটিআরসি ও অপারেটররা একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করার জন্য পরস্পরের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিয়া বলেন, ‘ভবিষ্যতে বিটিআরসি’র লক্ষ্য হবে সেবার মান নিশ্চিত করাসহ নতুন নতুন সার্ভিস প্রবর্তন করা। আজ দেশব্যাপী যে শতভাগ জনগণের কাছে টেলিকম নেটওয়ার্ক স্থাপিত হয়েছে, তার জন্য অপারেটররা কৃতিত্বের দাবিদার।
অপারেটরদের মাধ্যমে দেশে ১৫ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে আগামীতে অপারেটররা তাদের সেবা আরও প্রসারিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বর্তমানে দেশে পাঁচটি জিএসএম ও একটি সিডিএমএ অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসির হিসাবে দেশে ৯ কোটির বেশি মোবাইল গ্রাহক রয়েছে।