ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ পার করেছে ৫০ বছর।
১৯৬২ সালের ২ অগাস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ নামে একটি বিভাগ গড়ে তোলা হয় সাংবাদিকতা শিক্ষার জন্য। বর্তমানে ছয়টি সরকারি এবং সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন নামে এই বিভাগ রয়েছে।
সাংবাদিকতা শিক্ষার ৫০ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে সুবর্ণজয়ন্তীর শোভাযাত্রা শুরু হয়। বেলা ১২টায় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান।
পূর্ব পাকিস্তান প্রেস কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ১৯৬২ সালের ২ অগাস্ট বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকতা শিক্ষা প্রদান শুরু হয়। সেই সময়ের বিখ্যাত সাংবাদিক আতিকুজ্জামান খান বিভাগের প্রথম প্রধান নিযুক্ত হন। তখন এক বছর মেয়াদি সান্ধ্যকালীন ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়। প্রথম ব্যাচে ১৬জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে দুই বছরের মাস্টার্স কোর্স চালু হয়। ১৭৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপর বিভাগের নাম হয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ডিপ্লোমা যুগের অবসান হয়ে তিন বছর মেয়াদি সম্মান এবং এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স কোর্স চালু হয়।
১৯৯৭-৯৮ সালে বিভাগটি কলা অনুষদ থেকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে স্থানান্তর করা হয়।
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে বিশ্বমানের শিক্ষাই দেওয়া হয়।
“আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের এখানে এসে আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস, রেফারেন্স বই ইত্যাদি দেখে তারাও বিভিন্ন সময়ে এটাকে বিশ্বমানের হিসাবেই মন্তব্য করেছেন।”
“বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা এবং সত্য অনুসন্ধানের মত ইস্যুগুলো সাংবাদিকতার আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই এগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে।”