পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান জুন মাসে ৩ কোটি টাকা জরিমানা

পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশ ধ্বংসের দায়ে জুন মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ১৪টি পৃথক অভিযানে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। শনিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের অ্যানফোর্সমেন্ট বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজীপুরের তুরাগ নদ দূষণ, টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদী দখল, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে কৃষি জমি ধ্বংস করে ইটভাটা তৈরি, বুড়িগঙ্গায় লবণ কারখানার দূষণ, সাভারের আমিন বাজারে অবৈধ আবাসন প্রকল্প নির্মাণ, নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় ডাইং কারখানায় দূষণ, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় স্টিল মিলের বায়ু দূষণ, ময়মনসিংহের ভালুকায় ক্ষীর নদ দূষণ, নারায়ণগঞ্জের পাগলা এবং রাজধানীর পল্লবীতে শব্দদূষণ, রাজধানীতে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় জরিমানা করা হয়। এ সময় টাঙ্গাইলের কালীহাতীর বেলটিয়া গ্রামে ধলেশ্বরী নদীতে নির্মিত ১০০ ফুট দীর্ঘ অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে নদীর পানিপ্রবাহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এছাড়া, মনিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও নারায়ণগঞ্জে ১৩টি অবৈধ ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

অ্যানফোর্সমেন্টের অভিযান শুরুর পর প্রথমবারের মতো লবণ কারখানাগুলোর নদী দূষণের ঘটনা উদ্ঘাটন করা হয়। এসব লবণ কারখানা কোনো রকম পরিশোধন প্রক্রিয়া ছাড়াই শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা দূষণ করে আসছে। এছাড়া এ অভিযানে ৯টি ডাইং কারখানার নদী দূষণের ঘটনা উদ্ঘাটন করে বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ ও ত্রুটি দূরিকরণের নির্দেশ দেয়া হয়।

জুন মাসে বায়ুদূষণকারী স্টিল মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টিল ও রিরোলিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে বায়ুদূষণ বন্ধে আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়। অ্যানফোর্সমেন্ট অভিযানের পর দ-িত কারখানা, প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের পৃথকভাবে পরিচালক (অ্যানফোর্সমেন্ট) দূষণের কারণ, দূষণের ক্ষতির মাত্রা, সমাধানের ওপায়, জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা, দূষণ বন্ধে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে মোটিভেশন ও কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা দেয়া হয়।