চট্টগ্রামের শুরু হয়েছে আরেকটি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ। কদমতলীতে এই ফ্লাইওভারের কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. মো. আফসারুল আমীন।
শুক্রবার সকালে কদমতলী জংশন ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা আফসারুল আমীন জানান, এ সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সিটি করপোরেশনকে আড়াইশ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
স¤প্রতি নির্মাণাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে পড়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “উন্নয়ন কাজে ভুলত্র“টি থাকতেই পারে। সিডিএর সব কাজ শতভাগ সঠিক তাও নয়।”
গত ২৯ জুন নতুন চান্দগাঁও থানার অদূরে নির্মাণাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের ১৩৭ ফুট লম্বা ও সাত ফুট চওড়া একটি গার্ডার ভেঙে পড়ে। এতে একজন রিকশাচালক আহত হন।
দুর্ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশে দক্ষ জনবল নিয়োগ ছাড়াও ক্রস গার্ডার নির্মাণ করা, নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত করা, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার (গাইডলাইন) বাইরে গিয়ে কোনো কাজ না করা এবং জরুরি দুর্ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি রাখার কথা বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ৫৮ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৪০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৫ মিটার প্রস্থের ফ্লাইওভারটি নির্মান করছে।
নির্মাণ ব্যয়ের অধিকাংশ অর্থই দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে সরকার ৫১ দশমিক ৮৩ কোটি এবং সিডিএ তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে বাকি টাকা দিচ্ছে। ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে ডেভেলপমেন্ট কন্সট্রাকশন লিমিটেড (ডিসিএল) একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ফ্লাইওভারটি নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে কদমতলী রেলক্রসিং পার হয়ে ধনিয়ালাপাড়া গিয়ে শেষ হবে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে।
ফ্লাইওভারটি নির্মাণ হলে নিউমার্কেট হতে বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ ও ডিটি রোডে চলাচলকারী পরিবহনসমূহ অনেক কম সময় ও কম দূরত্ব অতিক্রম করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি, চট্টগ্রাম ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কে এম ফজলুল্লাহ, সিডিএর সদস্য মফিজুর রহমান, ইউনুস গণি চৌধুরীসহ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।