স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, কারাগার থেকে মুক্তির পর একজন বন্দি যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, সেজন্য গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন ব্যবসা কেন্দ্রে বন্দিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একজন অপরাধী কারাগার থেকে বের হয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে, সমাজে পুনর্বাসিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এ সরকারের আমলে সর্বমোট ১৪ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডের মতো কারা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও ঝুঁকি ভাতা দেয়া হচ্ছে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সদর উপজেলায় ‘কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কারা মহাপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা আহাম্মেদ, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল বাতেন, সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, টঙ্গীর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বক্তব্য রাখেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারকে স্থানান্তর করার জন্য কেরানীগঞ্জে নতুন কারাগার নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী বছর জুনে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৬ তলা বিশিষ্ট ১০টি ভবনের এ কারাগারে ১ হাজার বন্দি রাখার সুযোগ রয়েছে।