রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কিছু শেখার আছে বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবিস্নউ মজিনা। গতকাল বুধবার ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ার নারী সংসদ সদস্যদের সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও কৃষিমন্ত্রী নারী এবং মহিলা-শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী নারী। এছাড়া বাংলাদেশের সংসদে বর্তমানে ১৯ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ মোট ৫৯ জন নারী সংসদ সদস্য আছেন। যা বিশ্বের নারীবান্ধব অনেক দেশেই বিরল। বিশ্ব পরাশক্তির আমেরিকাতে তো নয়ই!
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মজিনা বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে কতজন নারী সংসদ সদস্য আছেন এর সঠিক সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে আমি নিশ্চিত যে, তা বাংলাদেশের চেয়ে কম।
মজিনা জানান, বাংলাদেশ ইকুয়াল ফিউচার্স পার্টনারশিপ নামের একটি নতুন উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গী হতে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের বাধা দূর করতে কাজ করবে সংস্থাটি।
মজিনা বলেন, আমি নিশ্চিত যে বাংলাদেশ এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দেবে। কারণ প্রতিটি ছেলে ও মেয়ের জন্য সমান উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
দক্ষিণ এশিয়ার নারী সংসদ সদস্যদের মধ্যে আলোচনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক ও দফতর স্থাপন করা হয়েছে এ সম্মেলন থেকে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের নারী আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সহায়তা দেওয়ার জন্য ওই দফতর আঞ্চলিক সমন্বয়কের কাজ করবে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের প্রায় একশ নারী সংসদ সদস্যকে নিয়ে গত রোববার থেকে চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়।