ভালুকা (ময়মনসিংহ) ভালুকায় বর্ষা কালীন সবজি বরবটির বাম্পার ফলন হলেও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কৃষকরা উপযুক্ত বাজার মূল্য না পেয়ে খরচের তুলনায় কম মূল্যে সবজি বিক্রি করে লোকসান গুনছেন বেশিরভাগ চাষি।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার দেলুয়ার হোসেন খান জানান, এ বছর পোকার আক্রমণ না থাকায় বরবটির ফলন খুবই ভালো হয়েছে তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অর্ধেক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। তিনি আরও জানান, উপজেলার চানপুর, মলি্লকবাড়ী ও গাদুমিয়া বস্নকে ৪০ হেক্টর, পাঁচগাঁও কাতলামারী, নারাঙ্গী ও তামাট বস্নকে ২০ হেক্টর জমিতে বরবটির চাষ হয়েছে। ভালুকার সীডস্টোর বাজার, মলি্লকবাড়ী, কাচিনা, বাটাজোর, উথুরা, আঙ্গারগাড়া ও চানপুর চৌরাস্তা বাজারে প্রতিদিন সকালে চাষিরা ক্ষেত থেকে বরবটি তুলে বিক্রির জন্য ভিড় করে। এসব স্থানে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার এসে বরবটি কিনে নেয়। ভালুকার বরবটি সৌদি আরব, দোবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে ব্যবসায়ীরা প্রচুর মুনাফা পেলেও বঞ্চিত হয় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদনকারী কৃষক। পশ্চিম নয়নপুর গ্রামের কৃষক ইমান আলী জানান, তিনি মাত্র ৪ কাঠা জমিতে বরবটির আবাদ করেছেন। তাতে তার সার ,বীজ, বাঁশ, সেচ ও কীটনাশক বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টাকার মতো। তিনি প্রতিদিন ষাট কেজি থেকে ২ মণ ৮০ কেজি পর্যন্ত বরবটি তুলছেন যা বর্তমান বাজারমূল্য গত বছরের অর্ধেক ১৫ টাকা কেজি ৬০০ টাকা মণ হিসাবে বিক্রি করছেন। মৌসুমে মাত্র ২৫ দিন বরবটি তোলা যায়। তিনি আশা করছেন, বাজার মূল্য বাড়লে ৪ কাঠা জমি হতে এ বছর ৫০ হতে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বরবটি চাষ কৃষকের জন্য অধিক লাভজনক। তবে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রির জন্য সুবিধাজনক বাজার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।