বাংলাদেশে চলতি ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ২৬ হাজার ৫শ’ মার্কিন ডলারের টার্গেটের বিপরীতে গত ১১ মাসে (অর্থাৎ জুলাই ২০১১ থেকে মে ২০১২ পর্যন্ত) রফতানি আয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৯শ’ ৭৬ মার্কিন ডলার। পুর্ববর্তী অর্থবছরে বাংলাদেশ লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি রফতানি করতে সক্ষম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ওভেনওয়্যার ও নিটওয়্যার রফতানির বিপরীতে আয় হয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৬শ’ ৯৭ এবং ৮ হাজার ৫শ’ ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আশা করা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে। তবে কয়েকটি কারখানায় কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য কিছু শিপমেন্ট বিলম্বিত হয়েছে যার প্রভাব দেশের সার্বিক লক্ষ্যমাত্রাকে কিছু হলেও প্রভাবিত করতে পারে।
বক্তারা বলেন, নিটওয়্যার রফতানিতে আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং ওভেনে আমাদের অবস্থান ৪র্থ। দেশের রফতানি বাণিজ্যে ৭০৫টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকলেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ খাতে আয় বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। শুধুমাত্র ৫/৬টি পণ্যের ওপর সমগ্র রফতানি বাণিজ্যের নির্ভরতা হ্রাসের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে গার্মেন্টস পোশাক শিল্পে অগ্রগতি সাধিত হলেও কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে শিপমেন্ট বিলম্বিত হচ্ছে, মালিকপক্ষ প্রচুর লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন, কারখানায় কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। নিজেদের সম্বয়হীনতার তৃতীয় কোন দেশ এতে লাভবান হতে পারে; বিদেশী ক্রেতা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারী- বেসরকারী উদ্যোগে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
রবিবার দুপুরে জাতীয় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ‘কমপ্লায়েন্স ইস্যু ইন আরএমজি সেক্টর’ এক সেমিনারে এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন-বিকেএমইএ’র সভা কক্ষে সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব শুভাশীষ বসু। সেমিনারে রিসোর্স পার্সনের ভূমিকা পালন করেন, বিকেএমইএ’র দ্বিতীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। বক্তব্য রাখেন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহা-পরিচিলক সালাউদ্দিন মাহমুদসহ বিকেএমইএ’র নেতৃবৃন্দ। সেমিনারে রফতানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ব্যাংকার এবং শিল্প কারখানার কর্মকর্তারা অংশ নেন।