বাংলাদেশের ওষুধ ৮৭ দেশে যাচ্ছে

বিশ্বের ৮৭টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক। 
বুধবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ওষুধ উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পুরোপুরি বজায় রাখতে সরকার সক্রিয়।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদিত হয়। এর জন্য কতগুলো প্রতিষ্ঠিত আইন, নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হয়। বাংলাদেশে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) মেনে ওষুধ উৎপাদন করে থাকে। তবে সব ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএমপির গাইড লাইন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ এখনো সম্ভব হয়ে উঠেনি বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ৮৭টি দেশে রফতানি হচ্ছে।”

ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিক্রি বন্ধে ২০১১ সালে ড্রাগ কোর্টে ১৫টি, মোবাইল কোর্টে ২১ এবং ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১টি মামলা হয়েছে বলে জানান রুহুল হক। এ সব মামলায় অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৭ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

চলতি বছর ১৬টি কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল, ১৪টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গ্রুপের ওষুধ উৎপাদন স্থগিত এবং ১টি প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।