এসএমই ঋণের ২৮ শতাংশ গ্রামে

ঋণ বিতরণ বাড়াতে সব ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধানদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠি

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিতরণ করেছে ১৪ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা, যা এ খাতে বিতরণ করা মোট ঋণের ২৮ শতাংশ। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এ হার আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের মহা-ব্যবস্থাপক সুকোমল সিংহ চৌধুরী সমকালকে বলেন, এসএমই খাতে বিতরণ করা ঋণের কত শতাংশ গ্রামে বিতরণ হয় আগে তা আলাদা হিসাব করা হতো না। গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতির গতি বাড়াতে প্রথমবারের মতো এটি আলাদা করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামে ঋণ বিতরণ বাড়াতে সব ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথমবারের যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা ইতিবাচক বলে তিনি মনে করেন।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক এসএমই খাতে মোট ৭০৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। এর মধ্যে গ্রামে দেওয়া হয়েছে ২১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে তাদের বিতরণ করা ঋণের ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ পেয়েছে গ্রামের মানুষ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত খাতের চারটি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৮৫৭ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংকের এসএমই খাতে বিতরণ করা ৭২৭ কোটি টাকার মধ্যে গ্রামে দেওয়া হয়েছে ১০৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৭ কোটি টাকার মধ্যে ৫ কোটি ১৪ লাখ বা ৩০ শতাংশ গ্রামে বিতরণ করেছে। তবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এসএমই খাতে ১১০ কোটি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ২ কোটি ২১ লাখ টাকা বিতরণ করলেও সবটাই শহরে বিতণ করেছে।বেসরকারি খাতের ৩০টি ব্যাংক তিন মাসে এ খাতে বিতরণ করেছে ১১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা, যা এ খাতে তাদের মোট ঋণের ৩০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়া বিদেশি মালিকানাধীন ৯টি ব্যাংক ৩৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ করলেও তাদের সব ঋণই পেয়েছে শহরাঞ্চলের মানুষ। অন্য দিকে ৩২টি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসএসই খাতে ঋণ বিতরণ করেছে। তিন মাসে তাদের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৩২৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাত্র ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ১১ শতাংশ দেওয়া হয়েছে গ্রামে। বাকি অর্থের সবটাই পেয়েছে শহরাঞ্চলের মানুষ।