/ফিচার পাতা/, প্রথম পাতা : ০৬/০৬/২০১২কাগজ প্রতিবেদক :
মূল্যস্ফীতি বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে দুই অঙ্কের কোঠায় থাকা মূল্যস্ফীতি গত এপ্রিলে এক অঙ্কে নেমে আসে। মে মাসে তা আরো কমেছে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরির হার বৃদ্ধি পাওয়ায় পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে নেমে তা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে বলে দাবি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিবিএসর বিদায়ী মহাপরিচালক শাজাহান আলী মোল্লা মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেন।
পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মার্চ মাসে তা ছিল ১০ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে এই হার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ।
খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার গত এপ্রিল মাসে ছিল ৮ দশমিক ১২ শতাংশ এবং গত বছরের মে মাসে তা ছিল ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার গত এপ্রিল মাসে ছিল ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং গত বছরের মে মাসে তা ছিল ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বিবিএসের পরিসংখ্যানে বলা হয়, গত বছরের জুন মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ১ শতাংশ। এর আগের বছর তা ছিল ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছরের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে মজুরি ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে বিবিএস মহাপরিচালক শাজাহান আলী মোল্লা বলেন, মূল্যস্ফীতি কমেছে এবং মজুরি বেড়েছে। মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান মূল্যস্ফীতির হারকে সহনীয় বলা যায়।