সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্যাপক গরম থাকায় পানি ও রসালো ফলের চাহিদা বেশী থাকায় বাজারে দাম বেশী । ফলে ব্যবসায়ী ও চাষীরা লাভবান হয়েছেন। এতে তাদের মুখে ফুটেছে হাসি।
আবহাওয়া এবছর উত্তপ্ত থাকায় মানুষ একটু তৃষনা নিবারনের জন্য এই জাতীয় খাবারের প্রতি বেশী বেশী নজর দিয়েছে। ফলে বাজারে রসালো মৌসুমী ফলের মধ্যে তরমুজ থাকায় চাহিদা বেশী হয়েছে । এতে তরমুজের দামও বেশী হয়েছে এবং লাভও তুলনামুলক বেশী হচ্ছে বলে জানালেন পৌরসভার তরমুজ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ। তিনি আরো জানান গত এক মাস ধরে তরমুজের ব্যবসা করছি ব্যয় বাদে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা লাভ থাকছে্ । এরকম বিগত বছর গুলোতে লাভ করতে পারি নাই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলা ঘুরকা, নলকা, ধুবিল, সোনাখাড়া ইউপিতে প্রায় ২/৩ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়। বেলে দোয়াশ, এটেল দোয়াশ জমিতে তরমুজের চাষ ভালো হয়। ঘুরকা চাষী আব্দুল আওয়াল জানান ১৫ শতক জমিতে এবার তরমুজ চাষ করেছিলাম ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩ হাজার টাকা।
উপজেলা সদর বেগম নুরুণ নাহার তর্কবাগিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান বর্তমানে চাষীরা তরমুজ, ভাঙ্গি, সব্জি চাষ করলে বেশী লাভবান হতে পারবেন। মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়ে উঠেছেন বাজারে গিয়ে টাটকা তরতাজা সব্জি কিনতে চান। টাকার দিকে না তাকিয়ে মানুষ চান ভালো টাটকা ফল ও সব্জি। কাজেই চাষীদের তিনি এসব কৃষি শষ্য চাষের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানান।