সাত বাংলাদেশীসহ ৩৩টি দেশের ৭৫ জন শান্তিরক্ষী (সামরিক ও পুলিশ) এবং ৩৭ জন বেসামরিক শান্তিরক্ষীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের স্বীকৃতি হিসেবে পদক দিয়েছে জাতিসংঘ। পদকপ্রাপ্ত সাত বাংলাদেশী হলেন : মেজর কে এম জিয়াউল হক, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইফতেখার আলম, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আবদুস সালাম, করপোরাল মো. ইউনুস মিয়া, এসএসপি মো. আবদুল মালেক দর্জি, সিনিয়র এএসপি মো. সাইদুর রহমান ও কনস্টেবল মো. নাসির উদ্দিন। তারা সবাই গত বছরের বিভিন্ন সময় শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ৩০ মে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর গত বছর বিশ্ব শান্তিরক্ষায় যেসব বীর শান্তিরক্ষী প্রাণ দিয়েছেন, তাদের স্মরণে পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শান্তিরক্ষী বাহিনীর পক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছ থেকে এই পদক গ্রহণ করেন। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বর্তমানে বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের মোট ১০ হাজার ৬৫৩ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছেন। বিশ্বশান্তি রক্ষায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১০৮ জন শান্তিরক্ষী প্রাণ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বিদেশে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি বিনির্মাণের পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী বিরাট অবদান রেখে চলেছে।