বড়লেখা মোহাম্মদনগরে এবার প্রায় ১০০ একর জমিতে শতাধিক কৃষক ঝিঙ্গা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। বড়লেখার মোহাম্মদনগরের কৃষকদের প্রধান আয়ের উৎস সবজি চাষ। তাই সবজি চাষের মৌসুমে ব্যসত্ম সময় কাটান বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ নিয়ে। প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষকরা ঝিঙ্গা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। বড়লেখা উপজেলা সদর থকে প্রায় ১০ কি: মি: দূরে মোহাম্মদনগর গ্রামের কৃষকরা এবার ঝিঙ্গা চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে এক নবদিগমেত্মর সূচনা করেছে। মোহাম্মদনগর এলাকার যে দিকে চোখ যায় শুধু ঝিঙ্গার নয়নাভিরাম ক্ষেতের দৃশ্য! কৃষকরা ক্ষেত থেকে ঝিঙ্গা তোলে বাজারে বিক্রি করে ভাল দাম পাচ্ছেন। এ গ্রামের কৃষকরা স্থানীয় জাতের ঝিঙ্গার চেয়ে অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা আবাদে বেশি মনোযোগি।
সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার প্রত্যেক কৃষক প্রতিবছরের মতো এবারও অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ঝিঙ্গা চাষ করেছেন। কথা হয় গ্রামের কৃষক ছইমুদ্দিন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন- এবার প্রায় ১ একর জায়গায় ঝিঙ্গা চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকার মতো। বর্তমানে বাজারে বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো। এই এলাকার প্রায় সব কৃষকরা এবার ঝিঙ্গা চাষে লাভবান হওয়ায় আগামীতেও ঝিঙ্গা চাষে আরও বেশি মনোযোগি হবেন বলে কৃষকরা জানান। গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান, মাসুক উদ্দিন, কবির হোসেন, সুনাম উদ্দিন, মসেত্মাফা উদ্দিন বলেন- শুনেছি এসব ঝিঙ্গা বড়লেখা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে পাইকাররা বেশি দামে বিক্রি করছে। একাধিক কৃষক জানান, আমাদের ঝিঙ্গা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পাইকারদের মাধ্যমে অন্যান্য জেলায় যাচ্ছে।
কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরম্নতে এই ঝিঙ্গার প্রতি মন ১২০০-১৪০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কমে গেছে।
সুত্র